আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংসতা সৃষ্টি করার জন্য আমেরিকার ইন্দনে ও তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে একের পর এক বৈঠক করেছে বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
তবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী ইমেজ থাকায় এখন পর্যন্ত দুই দলের সম্পর্ক প্রকাশ্য না করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্পষ্ট করে বলেছেন।
আরও পড়ুন : বেকায়দায় বিএনপি! নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট বর্জনের ষড়যন্ত্রের দরজা একেবারেই বন্ধ!
এছাড়াও আমেরিকার সঙ্গে তাদের গোপন আঁতাতের বিষয়টিও সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন জামায়াতের সিনিয়র এক নেতা। পশ্চিমাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক হচ্ছে বলেও জানান তিনি। গণমাধ্যমে এই ঘোষণার মাধ্যমে দেশজুড়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মীবাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
সামনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার ঘোষণার মাধ্যমে দেশজুড়ে আবারো ২০১৪ সালের মতো হত্যাযজ্ঞ চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে জামায়াত। আর জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের লিখিত অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : ঢাকার আমেরিকান এমব্যাসি কি ডানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলো?
কারণ, বিশ্বজুড়ে তাদের একচেটিয়া ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় এখন এশিয়ায় জেঁকে বসতে চায় আমেরিকা। আর এশিয়ার নিয়ন্ত্রণ সংহত করতে ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের স্থল ও জলসীমায় নিজেদের উপস্থিতি প্রয়োজন তাদের।
আরও পড়ুন : আমেরিকার দখলদারিত্ব বাস্তবায়নে কাজ করছে বিএনপি ও তারেক জিয়া, মাঠে সহিংসতা ছড়াতে নামবে জামায়াত
[আমেরিকা জামায়াতকে দিয়ে বাংলাদেশকে সিরিয়া-ইরাক-আফগানিস্তানের মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চায়]
এর আগে একই স্টাইলে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তানেও প্রথমে উগ্রবাদীদের মদত দিয়ে দেশগুলোকে অশান্ত করেছিল আমেরিকা। এরপর শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের মধ্যে ফেলে দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই আমেরিকা। এখন বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দূরভিসন্ধি বাস্তবায়নে সোচ্চার হয়েছে তারা।
আরও পড়ুন :