বিশ্বনেতাদের মাত্রাতিরিক্ত ইউনূসপ্রীতি দেখে বাংলার এই প্রবাদটা মনে পড়ে যায় – ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’!

0
424
ইউনূস

আমাদের নোবেলজয়ী ডঃ ইউনূস সাহেব, তার গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর যে মহান পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তার মহতী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণব্যাংকের মাধ্যমে এদেশের আপামর জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণ করে যাচ্ছেন। ইউনূস সাহেব যখন তার চিরাচরিত মিষ্টি হাসি হেসে সদম্ভে ঘোষণা করেন যে তার এক কোটি ঋণগ্রহীতা রয়েছে, তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে ১৯৭৬ -২০১১ পর্যন্ত উনি করলেনটা কি?

দারিদ্র বিমোচন করলে ঋণগ্রহীতা থাকবে কেন, তাও আবার ক্ষুদ্রঋণ!

আরও পড়ুন : ইউনুসের নোবেল কেন রাজনৈতিক? কেন অর্থনীতিতে নয় শান্তিতে?

2y5kp4ooস্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও প্রমাণ করে বাংলাদেশের কিঞ্চিৎ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সিংহভাগই এসেছে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থে। তাই যুক্তিতর্কের খাতিরেই হোক কিংবা পরিসংখ্যানের বিচারে, ইউনূস সাহেবের ক্ষুদ্রঋণ-তত্ত্ব দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের অলীক স্বপ্ন ধোপে টেকে না। তবে একদিক থেকে তিনি কিন্তু দারুণ সফল, মধ্যবিত্ত শিক্ষকের অবস্থান থেকে আজকে উঠে এসেছেন মহাবিত্তবানদের কাতারে, তার দেওয়া ঋণে এককোটি জনগোষ্ঠী বিত্তবান হতে না পারলেও তিনি কিন্তু চড়া সুদ আরোপ করে ঠিকই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন, দেশের সকলে দারিদ্রমুক্ত না হলেও অঢেল সম্পত্তির মালিক ঠিকই হয়েছেন।

আরও পড়ুন : ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশি বন্ধুদের দিয়ে সরকারকে চাপ দিচ্ছেন ড. ইউনুস

প্রায়ই তিনি বিদেশ সফরে যান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-প্রধানমন্ত্রী আর রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে বন্ধুত্বস্থাপনে বড়ই পুলকিত বোধ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন তো ওনার ইয়ার দোস্ত, তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ইউনূস সাহেবের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়ারিবার্তা পাঠান। শুধু বিল ক্লিনটনই বা কেন, জন কেরী, বারাক ওবামা, স্পেনের রানী সোফিয়া, জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল সহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা এখন বন্ধুত্ব রক্ষার মহান তাগিদে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিবৃতি দিয়ে চলছেন। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে – মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, আমাদের ইউনূস সাহেবের প্রতি বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের এত দরদ উথলে পড়ছে কেন?

যে দলটি ক্ষমতায় থাকাকালীন দূর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ, সেই দলের মহাসচিব ও ইউনুস সাহেবের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। বলা চলে দূর্নীতিকারীরাই দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবে স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন : এক্সক্লুসিভ নিউজ! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন এর দায়িত্ব পাচ্ছে ড. ইউনুস

যেসব বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা, এবং দেশের গুটিকয়েক রাজনৈতিক দল যারা ইউনুস সাহেবের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন মূলত তাদের উদ্দেশ্যে স্বার্থ হাসিল করা।

[বিশ্বনেতাদের মাত্রাতিরিক্ত ইউনূসপ্রীতি দেখে বাংলার এই প্রবাদটা মনে পড়ে যায় – ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’!]

ywfওই বিবৃতিবাজদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞজনরা বলেছেন, ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে যদি তাদের এতোই সন্দেহ আর উদ্বেগ থাকে তবে তারা যেন দেশের শ্রম আইনের ধারাগুলো পরীক্ষা করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণ করেন। অকারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে জলঘোলা করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

আরও পড়ুন : 

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে