বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতিমালায় বলা আছে, যেসব কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচালের আওতায় পড়বে তার মধ্যে আছে– ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য সহিংসতাকে কাজে লাগানো এবং এমন কোনো পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে তাদের মত প্রচার থেকে বিরত রাখা।বিচার বিভাগকে স্বাধীন রাখা।
কিন্তু সেই ভিসানীতি লঙ্ঘন করছে যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই। তাহলে কি নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব ভিসানীতি?
বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।মানবিধকার সংস্থা অধিকার তাদের রিপোর্ট বলে, শাপলা চত্বরে পুলিশের অভিযানে ৬১জন নিহত হয়েছে। যা ছিল সম্পূর্ণ গুজব।পরবর্তীতে দেখা যায় সেই ৬১ জনই বিভিন্ন মাদ্রাসা-স্কুলে ক্লাস করছে।
[নিজেদের ভিসানীতির আওতায় নিজেরাই!]
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর সম্পাদককে কারাদণ্ড দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে একটি বিবৃতি দেয় যেখানে অধিকার এর সম্পাদকের পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক’রা বলেন,,বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ।এখানে বিচার বিভাগ ও স্বাধীন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কাকে জেলে পাঠাবে এটি অন্য দেশ ঠিক করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিবৃতি বিচার বিভাগকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।তাদের ভিসানীতিকে লঙ্ঘন করছে তারাই।বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকেও ভিসানীতির আওতায় আনা উচিত।
আরও পড়ুনঃ
- বিশ্বনেতাদের মাত্রাতিরিক্ত ইউনূসপ্রীতি দেখে বাংলার এই প্রবাদটা মনে পড়ে যায় – ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’!
- ফ্যাক্ট যাচাই – সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে ভুয়া পোর্টাল থেকে ছড়ানো গুজব এবং এর সত্যতা
- মার্কিন গোপন তারবার্তায় বিএনপি-জামায়াত আমলে বিমানের বোয়িং দুর্নীতি ও ঘুষ কেলেঙ্কারি