কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে নাশকতা করিয়ে এখন তাদের চিনতে পারছে না বিএনপির নেতারা!

0
332
নাশকতা

রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে বিএনপি। তাদের অপরাজনীতির শিকার হয়ে পুলিশ, আনসার, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ কয়েকশ মানুষ হতাহত হয়েছেন। সারাদেশে একশর বেশি বাস, ৫ শতাধিক গাড়ি-মোটরসাইকেল এবং হাজার হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে এই কয়েকদিনে। রক্ষা পায়নি রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও। তবুও তাদের রক্তপিপাসা মেটেনি। আগুন দিয়ে গাড়ি ও মানুষ পোড়ানো, পুলিশ হত্যা- এমনকি খেটে খাওয়া মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে তারা ক্ষমতা দখলের নেশায়। এটা কি রাজনীতি? রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের আশা-ভরসা দিয়ে কর্মীদের দিয়ে রাস্তায় লেলিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গণমাধ্যমে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে জানমালের নিরাপত্তায়। এরইমধ্যে পুলিশ ও জনতার হাতে আটক হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে বা লাগাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে তারা। জনগণ কাউকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে, ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুও ঘটেছে বিএনপির এক আগুনসন্ত্রাসীর। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশকে হত্যাকারী ও হাসপাতাল, গাড়িতে আগুন দিয়ে পালানো কয়েকজন বিএনপি কর্মী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক হয়েছে। বিএনপির বড় নেতারা আল-কায়দার জঙ্গিদের মত গুহায় গা ঢাকা দিয়ে সেখান থেকে উস্কানি দিয়ে কর্মীদের মাধ্যমে সারাদেশে নাশকতা চালাচ্ছেন। নেতাদের আদেশ মানতে গিয়ে কর্মীরা ধরাও পড়ছে, জনতার পিটুনিও খাচ্ছে।

ইতিমধ্যে পুলিশকে হত্যা, হাসপাতাল, বাস-অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটক বিএনপি কর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় আরও অনেককে আটক করেছে পুলিশ। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত কারো সাথে এখনও বিএনপির কোনো নেতা, দলীয় আইনজীবী বা দায়িত্বশীল কেউ যোগাযোগ করেননি। মামলা ও জামিন বা আর্থিক সহায়তার বিষয়েও এগিয়ে আসেননি। এ নিয়ে হতাশ আটক নেতাকর্মীরা। তাদের অনেকের সাথে সংবাদকর্মীরা কথা বলেছেন।

[কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে নাশকতা করিয়ে এখন তাদের চিনতে পারছে না বিএনপির নেতারা!]

কর্মীরা জানান নেতারা তাদের নানারকম আশ্বাস দিয়ে রাস্তায় নামিয়েছেন, দলের হাইকমান্ডের নজরে পড়া বা বড় পদের আশায় তারা নাশকতায় নেমেছেন। অনেককে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল যতটা সম্ভব ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে। নাশকতা করে ঢাকার বাইরে চলে যেতে। তবুও যদি ধরা খায় বা মামলা হয়, দল দেখবে। ছাড়িয়ে আনবে, খরচা নিয়ে ভাবার দরকার নাই, ভাইয়া অর্থাৎ তারেক জিয়া সব সামলাবে। কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সারাদেশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে, দল ক্ষমতায় গেলে এই কর্মীদের ভাগ্য খুলে যাবে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এসব আশ্বাস দিয়ে ফখরুল-রিজভী-আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ বড় নেতারা তাদের দিয়ে নাশকতা করিয়েছেন।

তবে পুলিশ হত্যা, বাসের ভেতরে জ্যান্ত মানুষ পোড়ানো, অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালে আগুন দেয়া, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মত ঘটনাগুলোয় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সরাসরি অংশগ্রহণ এভাবে প্রকাশ হয়ে যাবে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ভাবতে পারেনি। তবে এমন কিছু যে ঘটাবে বিএনপি, তা বুঝতে পেরে আগেই উচ্চ প্রযুক্তির ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা ও ড্রোন মোতায়েন করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে সাংবাদিক সেজে বাসে আগুন দিয়ে পুলিশের ওপর দোষ চাপানো বিএনপি কর্মীও শনাক্ত হয়েছে।

বিদেশি গণমাধ্যমে বিএনপির নাশকতার খবর এসেছে। গা বাঁচাতে বিএনপি নেতারা তাই আটককৃতরা তাদের কর্মী নয় বলে দাবি করছেন। উল্টো এই নাশকতাকারীদের আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে গুজব ছড়ায়। পল্টন থানা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর ওপর বিএনপি কর্মীরা হামলা করে ২৮শে অক্টোবর, সেই ভিডিও অফিসিয়াল পেজ থেকে ছড়িয়ে বিএনপি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা নাকি বিএনপির নারী নেত্রীকে লাঞ্ছিত করছে! বিএনপির এসব নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও মুখোশ জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে।

[কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে নাশকতা করিয়ে এখন তাদের চিনতে পারছে না বিএনপির নেতারা!]

একটা বিষয় বলা প্রয়োজন, দেশি-বিদেশি যে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সবসময় বিএনপির পক্ষে গলা ফাটায়, তারা এখন চুপচাপ। আহত-নিহত সাধারণ মানুষের কথা পরে, বিএনপির যে কর্মীরা নেতাদের কথায় আগুন সন্ত্রাস করতে গিয়ে ধরা পড়ল, পিটুনি খেল, মামলা খেয়ে জেলে গেল, তাদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলবে না এই মানবাধিকারের দোকানদাররা? আর সারাদেশে যে এত মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলো, তাদের মানবাধিকারের কী হবে? মানবাধিকারের এই কারবারিরা এখন পুলিশ ও আনসার সদস্য হত্যা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলার ব্যাপারে চুপ কেন? জনগণের কাছে এর বিচারের ভার ছেড়ে গেলাম।

আরও পড়ুনঃ

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে