মির্জা ফখরুল বললেন “এর কারণটা হচ্ছে, এই সম্মাননা যখন দেওয়া হয় তখন ম্যাডাম জেলে ছিলেন দুই বছর। তারপর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন কয়েকবার। এখন উনি বাসায় এসেছেন। আমরা তাকে এই সন্মাননার কথা জানিয়েছি। আপনাদেরকেও জানলাম।”
প্রশ্ন- ম্যাডাম কি তবে এখন মুক্ত ? নাকি কানাডা থেকে সার্টিফিকেট আসতে দেরী হয়ে গেলো ?
ঢাকায় কানাডীয় হাই কমিশনও বিষয়টিকে ‘এন্ডোর্স করেছে’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তবে এ বিষয়ে কানাডীয় হাই কমিশন কোন মন্তব্য করতে রাজি হয় নি।
প্রশ্ন- কানাডা হাই কমিশন কি কোটি টাকার এই সম্মাননার বিষয় জানে?
কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, টরন্টোভিত্তিক এ সংগঠন ২০০৩ সাল থেকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে। তবে তাদের ওয়েবসাইটে খালেদা জিয়ার বিষয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন- এই সংগঠন কি তাহলে ভুঁইফোড়?
মাত্র একজন তাদের স্টাফ একথা তাহলে বাস্তব?
পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স নামে আরেকটি সংগঠনের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সম্মননা পাওয়ার ওই খবর দেখা যায়। সেখানে বলা হয়, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের কাছ থেকে ২০১৮ সালের ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এই পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্সের একজন পরিচালক হলেন মোহাম্মদ মোমিনুল হক নামের এক ব্যক্তি, যিনি আবার কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের এশিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক।
কানাডা বিএনপিতে সক্রিয় মোমিনুল হক নিজেকে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে পরিচয় দেন। ফেইসবুকে তিনি সক্রিয় ‘মিলন হক’ নামে। সেখানে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং বর্তমান সরকারের বিরোধিতায় নিয়মিত পোস্ট দিয়ে আসছেন।
প্রশ্ন- বিদেশে বিএনপি নেতা কর্মীরা নিজেরা অর্গানাইজেশন খুলে নিজেরাই পুরস্কার দেয়ার অভিযোগ কি তাহলে সত্য?
সকল প্রশ্নের উত্তর- খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির নেতারা তাদের চেয়ারপারসনকে বিভিন্ন সময়ে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বলে আসছিলেন। মির্জা ফখরুলও বিভিন্ন সময়ে তার বক্তৃতায় তাদের নেত্রীকে ওই ‘গণতন্ত্রের মা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এভাবেই মাদারে গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র মিলে মিশে একাকার হয়েছে বিএনপি নেতাদের কর্মকান্ডে ।