দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে সোনার বাংলা। লাল-সবুজের পতাকা এখন বিশ্বমঞ্চে নিজের আলাদা অস্তিত্ব তৈরি করেছে। মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। খাদ্য মজুদের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। রিজার্ভ আর রেমিটেন্সে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সব মাইলফলক। ঋণ গ্রহীতা দেশ থেকে বাংলাদেশ [Bangladesh] এখন ঋণদাতা দেশ। নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প [Developmental Project]।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল
রাজধানী, মেট্রো ও জেলা শহরগুলো এখন একেকটা উন্নয়নের নগরী। গ্রামজুড়েও বয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের ছোঁয়া। কোথাও নেই কাঁচা রাস্তা। দুর্গম চরাঞ্চলসহ দেশে শতভাগ বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছে সরকার। পদ্মাসেতু [Padma Bridge] , মেট্রোরেল [Metro Rail] , কর্ণফুলী টানেল [Karnaphuli Tunnel], বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট [Bangabandhu Satellite] , রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র [Rooppur Nuclear Power Plant] , রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ [Rampal Thermal Power Project] আরও বহু প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে সোনার বাংলার চেহারা। কিন্তু এই পথটা মোটেও সহজ ছিল না। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। বহির্বিশ্বের শত্রুর পাশাপাশি ঘরের শত্রুও মোকাবেলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যারা বিদেশিদের সহায়তা নিয়ে দেশের উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল।
আরো পড়ুন : দেশকে অস্থিতিশীল করার ব্লু প্রিন্ট বিএনপি-জামায়াতের
[চুনকালি পড়ুক বিএনপি-জামায়াতের মুখে, উন্নয়নের বাংলাদেশে আমরা থাকবো সুখে]
ওরা চেয়েছিল পদ্মায় না হোক সেতু, মেট্রোরেলে না চড়ুক বাংলাদেশ, নদীর তলদেশে টানেলের স্বাদ না নিতে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছিল স্বাধীনতার দোসররা। একাত্তরের সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বদল হয়নি। বিদেশি সাহায্যের সাথে সাথে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বারবার বাধা দেয়া হয়েছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পকে। আর্থিক সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি জনমনে ভীতিকর পরিবেশও সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। টানা তিন মেয়াদে সরকারে গঠন করে বাংলাদেশের এই চেহারা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে এই উন্নয়ন। বাবার দেখা অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে করেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। বারবার আঘাত পেয়েও পিছু হটেননি। বরং নবোদ্যমে নতুন প্রেরণায় শক্তির পুরোটাই ঢেলে দিয়েছেন দেশের উন্নয়নে। আর এতেই সেজেছে সোনার বাংলা।
আরো পড়ুন :