নির্বাচন আসলেই বিএনপি’র না! বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে, কি সেই কারণ ?

0
838
নির্বাচন

২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।যার জন্য জাতীয় সংসদে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধান রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ পাস করা হয়েছিল।এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি করেছিলেন যাতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনসহ ব্যক্তি পর্যায়ে মোট ৩২৯ জনের নাম প্রস্তাব পেয়েছিল সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি।নাম পাওয়ার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে

কাজী হাবিবুল আউয়াল
কাজী হাবিবুল আউয়াল

নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল সার্চ কমিটি।পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে সার্চ কমিটি।২৬শে ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

নিরপেক্ষভাবে এই সিইসি গঠন নিয়েও বিএনপি[BNP] প্রথম থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার করে আসছে গণমাধ্যমে।মজার বিষয় হচ্ছে বর্তমানে যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তার নাম প্রস্তাব করেছিল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।বাংলাদেশের সকল জনগণ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কে চিনেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে।এই নির্বাচন কমিশনকে ও মানতে চাচ্ছে না বিএনপি।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করার আগে বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেছিল।সেই সংলাপ ও প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি।সার্চ কমিটিতে ও নাম প্রস্তাব করে নাই বিএনপি।
বর্তমানে সকল রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিলেও বিএনপির তেমন কোন প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না।সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন বিএনপি কি তাহলে নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে?

[নির্বাচন আসলেই বিএনপি’র না! বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পাচ্ছে, কি সেই কারণ ?]

বিএনপির মহাসচিব গণমাধ্যম অনেক কিছু বললেও তিনি জানেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামী।বর্তমানে সাধারণ জনগণ এর ও সমর্থন নাই বিএনপির কাছে।বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।২০০২ সালে বাংলাদশে সর্বোচ্চ ধর্ষন এর ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুনঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্বোচ্চ ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বিএনপির শাসনামলে

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা নারী ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের জায়গা জমি দখল, হত্যাসহ নানা অপকর্মে মেতে ওঠে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতারা নিজের আসনে অনেক প্রচারণা চালায়।তারা ভেবেছিল বিএনপি এইবার নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবে।দলের দূর্দিনেও বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য থেমে থাকে নাই।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে বিএনপির ২ হাজার ৫৮৬ মনোনয়নপ্রত্যাশী সাক্ষাৎকার দেন।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।সকল নেতাকে আশ্বাস দিলেও তারেক রহমানের সেই নির্বাচনে ছিল ভিন্ন প্ল্যান।

বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভুত ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত হয়েছে এবং ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী পলাতক তারেক রহমান, এই মনোনয়ন বাণিজ্য চালিয়েছেন।টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন তারেক রহমান এর নির্দেশে বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল।এই নির্বাচনে ও তারেক রহমান এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে কিনা যার জন্য ভয় পাচ্ছে বিএনপি নেতারা।

আরও পড়ুনঃ তারেককে টাকা না দেওয়ায় একে একে সব হারাচ্ছেন তৈমুর

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ধারনা করেছে সাধারণ জনগণ তাদের ভোট দিবে না।যদি নির্বাচনে গিয়ে হেরে যাই অনেক বড় ব্যবধানে হারবে।হারার ভয়ে কি বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে?

আরও পড়ুনঃ

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে