বিএনপির নির্বাচনে ‘না’ তবুও আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তারেকের মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু

0
824
বিএনপি

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না- সাফ জানিয়ে দিয়েছে দলটি। কিন্তু তাদের পলাতক নেতা তারেক রহমান ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এমনকি মনোনয়ন দেবার জন্য আসনের গুরুত্বভেদে টাকাও চেয়েছেন বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য তারেক রহমান সারা দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আর এ কাজে তারেককে সহযোগিতা করছে রুহুল কবির রিজভী। আসনপ্রতি অন্তত পাঁচজন করে প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে রিজভীকে।আরো জানা গেছে, বিএনপির তারেকপন্থী নেতারা টাকা নিয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে তারেকের বাছাই লিস্টে থাকার জন্য।তারেক রহমান

আরো পড়ুনঃ মনোনয়ন বানিজ্য করে লন্ডনে তারেক রহমানের নতুন বাড়ি- বিএনপি নেত্রী মনি

পরিচয় গোপন রেখে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা জানায়, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেয় তারেক রহমান। এবারো প্রস্তুতি শুরু করেছে। তার কারণেই মনোনয়ন নিয়ে বার বার সমস্যায় পড়তে হয় দলকে। বিএনপির এই নেতা মন্তব্য করেন, তারেক রহমানের কাছে বিএনপি মানে টাকা কামানেরা মেশিন।

বিএনপির একাধিক নেতারা বলছে, গত নির্বাচনেও মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন তারেক জিয়া। যদিও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে একটি মনোনয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল কিন্তু ওই মনোনয়ন বোর্ডের ক্ষমতা ছিল খুবই সামান্য। তারা শুধু লন্ডন থেকে প্রেরিত নামগুলো ঘোষণা করেছিলেন। আর এই মনোনয়ন নিয়ে দলে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে। বিএনপির অন্তত ১৭৩টি আসনে দুই থেকে তিন জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। যার ফলে পরবর্তীতে বিএনপির মধ্যেই গৃহদাহ তৈরি হয়। ফলে নির্বাচনের মাঠেই পিছিয়ে পড়ে দলটি।তারা মনে করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের বড় কারণ ছিল তারেকের মনোনয়ন বাণিজ্য।

আরো পড়ুনঃ

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে