দুই দিন পরপর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েই যাচ্ছেন বিএনপির নেতারা, কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না কেউ। জোটসঙ্গী দলগুলোও একে একে বিএনপির কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অতীত অপকর্মের জন্য বিএনপি জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে অনেক আগেই।
কিন্তু সর্বশেষ ভরসা ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও বিএনপি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। এমনকি বিএনপির কর্মীরাও দলের নেতাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। কর্মসূচি ডাকলে হাতে গোণা কিছু কর্মী উপস্থিত হন। বিএনপির এই অসহায় অবস্থার জন্য দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই দায়ী বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
আরও পড়ুনঃ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৈরি করা প্রথম তেলের সিন্ডিকেটটি এবারো চক্রান্ত করে দাম বাড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই মূলত বিএনপির সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তারেক রহমান।কিন্তু খালেদা জিয়ার হাত থেকে দলের দায়িত্ব নিলেও তাকে মেনে নেয়নি দলের সিনিয়র নেতারা। দলের মধ্যে তারেক রহমানের অনুসারী যেমন আছে, তেমনি তার বিরোধী বিরাট একটা অংশ আছে। এই গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপি গত চার বছরে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে পারেনি। ফলে যখন সরকার পতনের ডাক দিয়ে বিএনপির নেতারা রাজপথে নামার কথা বলছেন তখন তাদের কর্মীরাই ঠিকমতো সাড়া দিচ্ছেন না।
[সন্ত্রাসী দল বিএনপির ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা কেউ,সাধারণ জনগণের কাছে বিএনপি একটি ভয়ংকর ক্যান্সার]
আর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও তারেক প্রশ্নে বিএনপির সাথে আন্দোলনে যেতে রাজি নয়। তারেকের অতীত দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্যই বিএনপির সাথে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহা বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের একাধিক নেতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ অনেক কিছু লক্ষ্য করে। বিএনপির নেতারা সারাদিন সরকার পতনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু জনগণ জানে তারা তাদের চেয়ারপারসনকেই কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারেনি।সরকার মানবতা দেখিয়ে তাদের নেত্রীকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে তারা যে অযোগ্য সেটা প্রমাণিত।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারির পর কমছে ভোজ্যতেলের দাম
অযোগ্যদের পেছনে মানুষ নামে না। আবার বিভিন্ন দল তারেক রহমানের কারণে বিএনপির সাথে জোট করবে না। কারণ তারেকের সাথে জোট করলে তাদের দুর্নাম হবে। ফলে বিএনপি আসলে তারেকের নেতৃত্বে দেশে কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না। বিশ্লেষকদের মত, বিএনপিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করে তারেক রহমানের মত দুর্নীতিবাজ নেতাকে বাদ দিয়ে নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। এরপর অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে আন্দোলনে গেলে তখন মানুষ হয়ত রাজপথে নামতে পারে। নয়ত যতদিন তারেকের হাতে বিএনপি থাকবে ততদিন দলটির ডাকে কেউই সারা দেবে না।
আরও পড়ুনঃ