আগামী ২৮ মার্চ সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন ও সহায়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন : নির্বাচন নয়, সংলাপও নয়, আবারও আগুন সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে বিএনপি
বামদের লোকবল কম বলে হরতালে বিএনপি-জামায়াত নিজস্ব লোকবল দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে বলে আশ্বাস দেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এমনকি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের প্রয়োজন হলে বন্দোবস্ত করা যাবে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পাশে পেলে হরতাল ‘জমজমাট’ হবে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাম নেতারা।
আরও পড়ুন : গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে জামায়াত, গোয়েন্দা নজরদারি শুরু
গত ১১ই মার্চ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ২৮শে মার্চ সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়। ওইদিন সারা দেশে আধাবেলা হরতাল পালন করবে বাম দলগুলোর প্রধান এই জোট। তাদের হরতালের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিও (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
আরও পড়ুন : বিএনপি-জামায়াত জোট সারাবিশ্বের সহিংস রাজনৈতিক জোটের একমাত্র দৃষ্টান্ত

এছাড়া একই দিনে হরতাল ডেকেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও। রাজধানীর ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৮শে মার্চ সব রাজনৈতিক দল ও সব জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ওইদিন বাসার বাইরে বের হবেন না। বের হলেও হরতালে যোগ দেওয়ার জন্য বের হবেন। সবাই মিলে দলমত নির্বিশেষে যে যেভাবে পারেন হারতাল পালন করবেন।
আরও পড়ুন : ডা. জাফরুল্লাহকে নিয়ে উভয় সংকটে বিএনপি
[বামদের হরতালে অগ্নিসংযোগে সহায়তা দিবে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ বিএনপি নেতাকর্মীরা]

এর আগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ওইদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল হবে। কর্মসূচি সফল করতে সোমবার থেকে ২৭শে মার্চ সারা দেশে সভা, সমাবেশ, পদযাত্রা, মিছিল, বিক্ষোভ ও প্রচারপত্র বিলি করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন :