১৯৬৫- পাক-ভারত যুদ্ধে জিয়া পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলো। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনুগত এবং প্রচণ্ড রকম ভারতবিদ্বেষী ও মুজিববিদ্বেষী ছিলো।
১৯৬৮- বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে করা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’য় পাকিস্তান সামরিক সরকারের কৌশুলি কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমানের সহকারী ছিলো জিয়া।
আরো পড়ুন : পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে একটি গুলিও চালায়নি জিয়া
২৫ মার্চ, ১৯৭১- পাকিস্তান আর্মির কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করার দায়িত্ব দেন চতুর জিয়ার কাঁধে। ফলাফল ১,২০০’র অধিক সৈনিক, তাদের পরিবার ও শিশুদের চরম নির্মমতায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।
আরো পড়ুন : গণহত্যার রাত থেকেই মেজর জিয়ার হাত ছিলো বাঙালির রক্তে রঞ্জিত
১৯৭৪- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ফারুকের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া ছিলো জিয়ার। সেই সময় জিয়া ফারুককে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলো।
আরো পড়ুন : বঙ্গবন্ধু হত্যা: জিয়াউর রহমানের টেনিস-কোর্ট ষড়যন্ত্র
১৩ মে, ১৯৭৪- কর্নেল ফারুক রহমান জিয়ার নির্দেশে মুজিব সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে সহায়তা চায়।
আরো পড়ুন : কিভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল ডিক্টেটর জিয়া
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫- বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত খুনি আব্দুল মাজেদ বলে, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রতি জিয়াউর রহমানের সরাসরি মদদ ছিলো’।
২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫- খুনি মোশতাক-জিয়া চক্র বন্দুকের জোরে কুখ্যাত ‘ইনডিমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের খুনিদের সুরক্ষা প্রদান করে।
আরো পড়ুন : মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে জিয়ার সেনারা
৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫- জিয়ার নির্দেশে ১৯৭২ সালের দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরো পড়ুন : মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সাথে বারবার আপোষ করেছে পাকিস্তানি চর জিয়া

২১ জুলাই, ১৯৭৬- জিয়ার নির্দেশে প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়।
১৯৭৭- অবৈধঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি দেয় মেজর জিয়া।
আরো পড়ুন : জিয়া জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিল!
২১ এপ্রিল, ১৯৭৭- বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরিয়ে নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জিয়া।
আরো পড়ুন : মুক্তিযোদ্ধা হত্যা ও রাজাকারদের ক্ষমতায়ন শুরু করে জিয়া
৩০শে মে, ১৯৭৭- জিয়ার ১২০ শতাংশ কলঙ্কিত ‘হ্যাঁ ‘না’ ভোটের মাধ্যমে জোর করে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়।
২ অক্টোবর, ১৯৭৭- অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার নাম করে জিয়ার নির্দেশে সামরিক আদালতে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১৪০০ জনকে। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, লাশ গুম ও চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন : জিয়ার আমলে সশস্ত্র বাহিনীতে কতজনকে হত্যা করা হয়েছিল?
১৯৭৮- দেশের যুবকদের দুর্নীতিগ্রস্ত করতে যুব কমপ্লেক্সের নামে দেশজুড়ে উন্মুক্ত-চাঁদাবাজির প্রচলন করে জিয়া।
[ইতিহাসের কাঠগড়ায় স্বৈরশাসক জিয়ার গুম ও হত্যার রাজনীতির উপাখ্যান]

১১ জুলাই, ১৯৭৮- পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে তিন মাসের ভিসা নিয়ে ঢাকায় আসে গোলাম আজম। তার ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও জিয়া সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯- সামরিক আইনের অধীনে ও ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে দেশে ২য় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়।
আরও পড়ুন : ১৯৬৫-৭৯ কী করেছিলো জিয়াউর রহমান!
৯ এপ্রিল, ১৯৭৯- ‘সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯’ প্রণয়ন করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারসহ জিয়ার চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন :