বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল এবং মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এ ছাড়া গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন। সে জন্য বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না।
এতদিন তারা বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সেই নির্বাচন হলে তারা জোটগতভাবে অংশগ্রহণ করবে।আবার কিছুদিন আগে বিএনপির এক অনুষ্টানে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছে তাদের জোটের সব দলের নেতাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে।সরকার কোন দলের নেতৃত্বে হবে,সরকারের প্রধান কে হবেন এসব খোলাসা করেনি বিএনপি। বিএনপির তরফ থেকে হঠাৎ জাতীয় সরকার নিয়ে গণমাধ্যমে প্রস্তাবনা তুলে ধরায় বেজার হয়েছেন জোট শরিকরা। তারা মনে করছেন, এটি বিএনপির রাজনীতির টোপ ছাড়া কিছু নয়। জাতীয় সরকার নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা হতে পারত।
আরো পড়ুনঃ মুখ থুবড়ে পড়ছে বিএনপির ‘জাতীয় সরকার’ ফর্মুলা
তবে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে সে কথাও জনগণের সামনে তুলে ধরছে না।বিএনপির বর্তমান প্রধান এতিমের টাকা আত্মসাতের দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন, যদিও সরকারের বিশেষ কৃপায় এখন জেলখানার বাইরে অবস্থান করছেন। আর দলের দ্বিতীয় কর্তাব্যক্তি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এক যুগের অধিক সময় ধরে বিদেশে বসবাস করছেন।
তাদের দলের শীর্ষ দুই নেতাই দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বা দন্ড ভোগ করা ব্যক্তি। এরা তো নির্বাচনেই অংশ নিতে পারবেন না।তাদের দলের নেতারা বলছে তারা নির্বাচনে গেলে ৩০০আসনে তারা জয়ী হবে।প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ বিএনপিকে কেন ভোট দেবে? বিএনপি’র অতীতের কর্মকাণ্ড চিন্তা করে কি বিএনপিকে আগামীদিনে ক্ষমতায় বসাবে দেশের মানুষ। আবারো কি হাওয়া ভবনের মত বিকল্প সরকারের কবলে পড়বে দেশের জনগণ।আবারো কি একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা করে দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করবে বিএনপি। আবারো কি স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে উঠবে জাতীয় পতাকা? আবার কি আগের মতোই বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে দেশ। আবারো দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ ও সারের দাবিতে জীবন দিতে হবে? এসব প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ তাদের জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে না পরে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রা বলেন,বিএনপির একেক নেতা একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। কখনো নির্বাচনকালীন সরকার, কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো জাতীয় সরকারের কথা বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার ষড়যন্ত্র করছে, যা কখনো সফল হবে না।
আরো পড়ুনঃ