বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রগাঢ় সম্পর্ক রয়েছে। এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানপন্থীদের নেতা মনে করা হতো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে।এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া পাকিস্তানের মদদপুষ্ট রাজনীতিবিদ বলেই পরিচিত। আর সে কারণেই বর্তমানে পাকিস্তানে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে পাকিস্তানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সব প্রটোকল উপেক্ষা করে তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নিজে হাজির হয়েছিলেন। এটি বাংলাদেশের কূটনীতিতে একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করা হয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেছেন যে, ২০০১ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপিকে টাকা দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ বিএনপি শাসনামলে সর্বোচ্চ বিপর্যয় স্বাস্থ্যখাতে
এছাড়া বিভিন্ন সময় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিএনপিকে নানারকম সহযোগিতা করে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করার জন্য আইএসআই এর সহায়তায় বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এর মধ্যে অন্যতম বিএনপি। আর লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া আইএসআই এর একজন পে-রোল রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত।২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআই এর নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছিলেন।লন্ডনে বসেও তারেক জিয়া আইএসআই এর সঙ্গে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করেন- এমন খবর মাঝে মাঝে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি যেকোনো মূল্যে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
এছাড়া হঠাৎ করেই বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং প্রতিবাদ করেছেন। ধারণা করা হয় যে, এর পিছনে পাকিস্তানিদের ভূমিকা ছিল।গত কিছুদিন ধরেই বিএনপি ফের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপির নেতারা তারেক জিয়ার নির্দেশে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এ কারণেই বিএনপি ঘোষণা করেছিল যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না।
তবে বর্তমানে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বিএনপির সেই পরিকল্পনাতে ভাটা পড়েছে। আর এতেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরো পড়ুনঃ