প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে বিএনপি, পদ্মাসেতুকে টয়লেটের সাথে তুলনা রুমিনের

0
796
আগুন-পদ্মাসেতু

বাঙালি জাতির সক্ষমতা দেখে অবাক হয়েছে পুরো বিশ্ব। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামেনি এদেশীয় মীরজাফরদের। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হওয়া এই পদ্মাসেতুকে নিয়ে নতুন করে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত গং। এমনকি সেতুর পেছনে লাগতে গিয়ে, পুরো জাতিকেই হেয়প্রতিপন্ন করছে তারা।

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুঃ দেশের সুশীল সমাজ ও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা কে কি বলেছিলেন?

সম্প্রতি জাতীয় সংসদের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের জনগণকে নিয়ে তামাশায় লিপ্ত হয়েছে বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা। জাতীয় গৌরব পদ্মাসেতুকে টয়লেটের সঙ্গে তুলনা করেছে সে। কিন্তু সে ভালো করেই জানে- সম্পূর্ণ দেশের টাকায় নির্মিত এই সেতুর মালিক এদেশের জনগণ। জনগণের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এই সেতু। বৈদেশিক অনুদান ছাড়া এই প্রথম নিজেদের অর্থে এতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করলো বাংলাদেশ।

অথচ, বিএনপি-জামায়াত চক্র শুরুতে বলেছিল- এই সেতু কোনো দিনই বাস্তবায়ন করতে পারবে না আওয়ামী লীগ সরকার। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যখন পদ্মাসেতু নির্মাণ শেষ হলো, লাভবান হলো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর আর্থিক সুফল ভোগ করবে এখন প্রায় সাত কোটি মানুষ, এই সেতুর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধায় দেশের জিডিপি বাড়বে ১ শতাংশ।

Rumeen-Farhana-picture-5
রুমিন ফারহানা ও খালেদা জিয়া

যখন এই সেতু বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বাহবা দিচ্ছে সবাই, উচ্ছ্বাসে ভাসছে দেশের মানুষ; ঠিক তখনই আবার প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতের কুচক্রীরা। জনগণের এই অমূল্য সম্পদকে এখন টয়লেট হিসেবে অভিহিত করার মতো নোংরামিতে মত্ত হতেও দ্বিধা করছে না তারা। কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

[প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে বিএনপি, পদ্মাসেতুকে টয়লেটের সাথে তুলনা রুমিনের]

ইতিহাস বলে, তারা জনগণ ও গণমতকে কখনোই পাত্তা দেয়নি। তারা জনগণের সম্পদ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলতে অভ্যস্ত। তারা দাঙ্গা ও হাঙ্গামা বাধিয়ে জনগণের লাশ ফেলতে অভ্যস্ত। একারণেই জনগণের এই সম্পদ পদ্মাসেতুকে টয়লেট মনে হচ্ছে তাদের কাছে।

আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের যে উন্নয়ন হবে তা কিছুতেই মানতে পারছে না বিএনপি

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দেশের মানুষদের আনন্দ-উল্লাসের ধ্বনি বিএনপি নেতাদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। কারণ তারা দেশের ও দশের ভালো চায়নি কোনোদিন। ভালো কিছু সহ্যও করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মানুষ হত্যা, পাড়ায়-পাড়ায় সন্ত্রাস এবং গ্রেনেড-গুলি ছুড়ে মানুষ হত্যা এবং সন্ত্রাসের মহোৎসবে মেতে উঠেছিল এই রুমিনরাই। তাদের কাছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সহ্য না হওয়াটাই স্বভাবিক।

আরও পড়ুন : বিএনপি দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখছে

যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তারা তো দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে অপপ্রচার চালাবেই। তবে জনগণ এখন সচেতন। পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির এমন অবস্থানের কারণে জনগণের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন :

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে