২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটটি উপস্থাপন করেন । কিন্তু বাজেট পর্যবেক্ষণ বা বিশ্লেষণ না করে গতানুগতিক সমালোচনা করেছে বিএনপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারকে বিব্রত করতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাজেট নিয়ে গতানুগতিক হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বিএনপি।
জানা গেছে, বাজেট নিয়ে প্রথমে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু গোপন নির্দেশে পর বাজেটের সমালোচনা করতে চেষ্টা করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি সূত্র জানায়, বাজেট ইস্যুকে প্রথমে মির্জা ফখরুল ইসলাম পাত্তা দেননি। কিন্তু হাতে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না থাকায় বিদেশ থেকে আসা নির্দেশে বক্তব্য দিতে বাধ্য হন তিনি। মূলত বাজেট সমালোচনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি।
আরো পড়ুনঃ বিএনপির অনেক নেতাই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির শীর্ষ এক নেতা বলেন, আমাদের গা ছাড়া ভাব ও তাৎক্ষণিক বিবৃতির কৌশল জনগণও বুঝে ফেলেছে। সুতরাং আমাদের পরিকল্পনা সফল হবে না জেনেও বিবৃতি দিতে হয়। বাজেট পর্যালোচনা করে এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ইতিবাচক বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিপরীতে আমরা সমালোচনা করে কি করতে পারবো বলেন?
‘বাজেটকে নিয়ে বিএনপির বক্তব্য মিথ্যাচার’ জানিয়ে সদ্য বিএনপির পদত্যাগকৃত এক নেতা বলেন, বাজেট একটি বৃহৎ বিষয়। দুই-একটা তথ্য দিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। বিএনপি সবসময় সরকারকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করছে। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- সরকারের সমালোচনা করা, জনগণের ভালো দেখা নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ১৩ বছর ধরে বাজেট প্রস্তাবনার পর সমালোচনা করায় বিএনপির বার্ষিক রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবার মনগড়া বিবৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এবার ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও লন্ডনে পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমানের নির্দেশে গতানুগতিক বক্তব্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। বাজেট নিয়ে বিএনপি যদি যুগপোযোগী প্রস্তাব উপস্থাপন করতো তাহলে দেশ ও জনগণের উপকার হতো। কিন্তু বিএনপি শুধু সরকারের সমালোচনার লক্ষ্যে বাজেট নিয়ে কথা বলছে। বিএনপির উচিত- বাজেটে কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনলে জনগণের উপকার হবে তা উপস্থাপন করা। শুধু হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানোর লক্ষ্যে বাজেট নিয়ে বিএনপির বিবৃতি জনগণ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ