প্রতিপক্ষ দল আওয়ামী লীগের গোছানো রাজনীতি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কাছে বরাবরই অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়ে আসছে বিএনপি। তারেক রহমানের গোঁয়ার্তুমি, হঠকারিতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা এবং ক্রমাগত ভুল পদক্ষেপের কারণে রাজনীতিতে ক্রমশ বিলীন হতে বসেছে দলটি।
বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, দলের এই দশার জন্য তারেক রহমানই দায়ী। তাই দল বাঁচাতে তারেক বিরোধী শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপিতে।
আরও পড়ূন : তারেক রহমানের কারণে নোংরামির শেষ স্তরে চলে গেছে বিএনপির রাজনীতিঃ বিএনপি নেতা মঞ্জু
বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর ফল হাতেনাতে পেয়ে ক্ষমতা থেকে ছিটকে গেছে বিএনপি। তবুও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।
২০১৪-১৫ সালে দেশজুড়ে হাজারো মানুষকে পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত। খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে বিদেশে পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশেই ঘটেছে এসব ঘটনা। বিএনপির একাধিক নেতাই তা অকপটে স্বীকারও করেছেন।
আরও পড়ূন : Tarique Rahman : The Shadow God Father of Islami Militant in Bangladesh
বিশেষ করে ২০০১-এ ক্ষমতায় এসে বিরোধীদল ও সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের হামলা-নির্যাতন, গুম-খুন এবং মামলা দিয়ে দমন-নীতি গ্রহণ ছিল বিএনপির রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি।
আরও পড়ূন : তারেক জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি?
এছাড়া ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একইসঙ্গে খতম করে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছিল নৃশংস গ্রেনেড হামলা, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারায় দলটি।
[দল হলো এখন তারেকের টাকা কামানো আর ধান্দার জায়গা : বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস]
কানাডার আদালত কর্তৃক দুইবার দুটি ভিন্ন মামলায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ূন : বিএনপি এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিত্রহীন একটি দলে পরিণত হয়েছে

এদিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, দলের পক্ষে কাজ করা বাদ দিয়ে সিনিয়র নেতারা একে অপরকে টেনে নামানোর কাজে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেবে তা জানেন না দলের সিনিয়র নেতারাও। ফলে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মনে সংশয় রয়েছে। আর আমি নিজেই দলের এমন অবস্থা দেখে হতাশ। কোনো কর্মসূচি না থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আমার মতো হতাশ। আর সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের কাজের সামঞ্জস্য নেই, মূল্যায়নও নেই। দল হলো এখন তারেকের টাকা কামানো আর ধান্দার জায়গা।
তাই দলের ভালোর জন্য এখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছাড়াও দলের কিছু প্রবীণ এবং শিক্ষিত তরুণ নেতা তারেক বিরোধী জোট গঠন করেছেন। এই জোটের নেতারা মনে করেন, দলকে সংগঠিত করার বদলে ক্রমাগত ভুলের কারণে রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়েছে বিএনপি। সব দুর্বলতা দূর করে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে দলটি জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এখানেও বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে তারেকপন্থী নেতারা।
আরও পড়ূন :