সমগ্র পৃথিবীতে আজকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য হাহাকার। জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ যায়নি। সেই জার্মানিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। রেশনিং করা হচ্ছে, পানি গরম করার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। শীতের দেশের জনগণকে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শুধুমাত্র কি বাংলাদেশে দৈনিক এক ঘন্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হবে?
আমেরিকার নাগরিকদের সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে এসএমএস করে জানানো হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। স্পেনে গরমের জন্য টাই না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
সারা বিশ্বেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছ। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম ১০ গুণ বেড়েছে। উন্নত দেশগুলোতে বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও বিদ্যুতে রেশনিংয়ের কথা বলা হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি, ডিসেম্বর নাগাদ এ সমস্যা থাকবে না। বিএনপি এগুলো বুঝে। তারপরও তারা এ সমস্ত কথা বলেন।
আরও পড়ুন : দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু পত্রিকা পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে
বিএনপির আমলে মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। বিদ্যুতের জন্য মানুষ যখন মিছিল করেছে, তখন বিএনপি গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। বিদ্যুৎ দিতে না পেরে মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে সারা দেশে বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি।
[বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে]
হারিকেন নিয়ে মিছিলের অনেক অর্থ আছে। যেমন: মুসলিম লীগের মার্কা ছিলো হারিকেন, দলটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। এখন তারা হারিকন ধরে মুসলিম লীগ হতে চায় কী না, এটা একটি প্রশ্ন? আরেকটি হচ্ছে, হারিকেন দিয়ে যেকোনো সময় পেট্রল ভরে বোমা বানিয়ে ফেলা যায়। তাই হারিকেন দিয়ে পেট্রলবোমা বানাবে কী না সেটাও একটি প্রশ্ন? এছাড়া তারা যদি ক্ষমতায় যায় এবং সুযোগ পায়, তাহলে সবাইকে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন : বিএনপি আমলে নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ
আমাদের সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। বিএনপি মিছিলে যে হারিকেন নিয়ে গেছে, তার কোনোটাই একদিনও জ্বলেনি। কারণ সেগুলোতে কোনো বাতি নেই। বাজার থেকে তারা সেগুলো কিনে নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন :