পদত্যাগের স্রোতে ভাসছে বিএনপি

0
605
পদত্যাগ-বিএনপি

একের পর এক নানা অসঙ্গতির জের ধরে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। যার সঙ্গে যোগ হয়েছিলো (২৩ জুলাই) এক সঙ্গে বিএনপির মহিলা দলের ১২ নেত্রীকে এক সঙ্গে বহিষ্কার করার খবর। অপরদিকে ৪ বছরের বেশি সময় ধরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যেও বেহাল অবস্থায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো। দলের ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছাত্রদল ছাড়া অন্য সবক’টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি হাইকমান্ড।

আরও পড়ুন : একদিকে বিএনপিতে গণপদত্যাগ অন্যদিকে তারেক-ফখরুলের প্রতি গণঅনাস্থা

এতে একদিকে যেমন কাঙ্ক্ষিত নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না, তেমনি হতাশ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আবার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমও গতিশীল করা সম্ভব হচ্ছে না।

দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এর আগে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তিন বছর আগে। অথচ মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কোনো তোড়জোড় নেই। স্কাইপের মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করলেও বাস্তবে এসব সংগঠনের কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে না।

আরও পড়ুন : বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে অনাগ্রহী নেতারা

bnpবিএনপির অঙ্গসংগঠন ৯টি আর সহযোগী সংগঠন দুটি। এসবের মধ্যে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল মেয়াদ শেষ করেছে সুপারফাইভ কমিটি দিয়েই। মেয়াদ শেষে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতি দল ও ওলামা দলের কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেসবের মেয়াদও শেষ হয়েছে অনেক আগে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সংগঠনই কাউন্সিল করতে পারেনি। মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। সহযোগী সংগঠনের মধ্যে শ্রমিক দলের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও চার বছর আগে। ছাত্রদলের কমিটি চলছে আংশিক কমিটি দিয়ে।

আরও পড়ুন : কর্মী সংকট, দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপির অধিকাংশ মহানগর কমিটিতে অসন্তোষ-বিভেদ দেখা দিয়েছে

[পদত্যাগের স্রোতে ভাসছে বিএনপি]

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের কার্যক্রম থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে দলে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও গ্রুপিং-কোন্দলে লিপ্ত।

ফখা-তারেক
তারেক রহমান – মির্জা ফখরুল

সিনিয়র নেতাদের মধ্যে একটি অংশ চান মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিতে। আর মহাসচিব চান কিছু সিনিয়র নেতাকে উপেক্ষা করে কৌশলে দলের আধিপত্য ধরে রাখতে। আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চান তার অনুসারীদের সহযোগিতা নিয়ে অন্য সবাইকে উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে দল চালাতে। এ কারণে দলের ভেতরের অবস্থা এখন চরম নাজুক। আর এমন পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করছে নেতাদের পদত্যাগমুখী সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন :

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে