দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই যেন তাসনিম খলিলের নেশা। তাই সুইডেনে বসে নিজের ‘বদ অভ্যাস’ হিসেবেই গুজব আর সাংবাদিকতাকে একত্রে গুলিয়ে ফেলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগেই ২০০৭ সালে তাসনিম খলিল অপকর্মের জন্য দেশ থেকে ‘পাততাড়ি’ গুটিয়েছেন। বিলাসী জীবনের হাতছানিতে বিভোর হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আয়েশে বসবাস করছেন সুইডেনে। এক যুগের বেশি সময় ধরে সেখানে বসেই বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার যোগসাজশে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিদেশি স্পাই তাসনিম খলিলের সম্পর্কে না জানা তথ্যঃ দেশত্যাগ ও তার নিজের লেখা ভাষ্য – পড়ুন বিস্তারিত
তাসনিম খলিল মনেপ্রাণে বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন নামসর্বস্ব সাংবাদিক। তবে অর্থের জন্য মতাদর্শ থেকে বেরিয়ে মৌলবাদীদের সঙ্গে হাত মেলাতেও তিনি কুণ্ঠা বোধ করেন না। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএনপি-জামায়াতের ‘গুজব সেলে’র পেইড কর্মী হয়ে কাজ করছেন তিনি। তার মূল কাজ হলো, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরিতে উসকানি দেয়া।
আরও পড়ুন : বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নাস্তিকতার প্রচারণা চালান তাসনিম খলিল
এজেন্ডাভিত্তিক সাংবাদিকতায় নিয়োজিত তাসনিম খলিল আসলে জন্মভূমির প্রতি অকৃতজ্ঞ। বিদেশে বসে ক্রমাগত দেশের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন। সাংবাদিক নাম নিলেও তিনি মূলত প্রতারক। আবার এগুলোই নিজেদের ভুঁইফোড় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’ এর প্রধান খোরাকও বটে! এসব গুজবের দৌড়ে ‘করিৎকর্মা’ হিসেবেই ক্রমশ নিজেদের মেলে ধরে যুক্তরাজ্যে পলাতক ও দণ্ডিত বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সর্বোচ্চ আস্থাও কুড়িয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : বার্গম্যান ও খলিল: বিপরীত মেরুর দুই ব্যক্তি একজোট হলো কেনো?
তাসনিম খলিলের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। সিলেট নগরের পৌরবিপনী মার্কেটে কিংশুক মুদ্রায়ণ নামে তাদের একটি পারিবারিক প্রেসের ব্যবসা ছিল। জামায়াত অনুসারী কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত তাসনিমের বাবা কাসেমি মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর ছিলেন।
[বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বঘোষিত নাস্তিক তাসনিম খলিল]
সিলেট নগরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবার হিসেবে তারা চিহ্নিত। তাছাড়া মাওলানা সাঈদীসহ কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা সিলেট সফরে গেলে তাসনিমদের বাড়িতে নিয়মিত যেতেন। তাসনিম বর্তমানে সুইডেনের আরেব্রোতে বসবাস করছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন নানা ভুল তথ্য দিয়ে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন :