রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৮১ দিন পর। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
গণমাধ্যমের বরাতে ইতিমধ্যে জানা গেছে, ফিরোজায় ফিরেই খালেদা জিয়া জানিয়েছেন- তিনি বিদেশ যাবেন না। দলের বেহাল অবস্থা বিবেচনা করে দেশেই থাকবেন। তবে কোনো নেতা-কর্মীর সঙ্গে আর দেখা করবেন না তিনি।
এদিকে একটি সূত্রের দাবি, আড়াই মাস পর হাসপাতাল থেকে মুক্তির পর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করছেন এবং ফোনে যোগাযোগ রাখছেন। তবে তার সাথে সাক্ষাতের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতারা তাকে স্বাগত জানানোর জন্য দেখা করতে চাইলেও অনুমতি পাননি।
আরও পড়ুনঃ আরেক হামিদ কারজাই হতে চান মার্কিন পুতুল রেজা কিবরিয়া?
বিষয়টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নানা গুঞ্জন উঠেছে। অনেকের প্রশ্ন, তবে কী রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন খালেদা? সে কারণেই হয়ত নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছেন! কেউবা বলছেন, ম্যাডাম হয়ত দলের নেতা-কর্মীদের ওপর কোনো কারণে মনঃক্ষুণ্ন। সে কারণেই তিনি এমন করছেন! তবে তারা মনে করছেন, সব একসময় ঠিক হয়ে যাবে!
এদিকে সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত ৩ দিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা বা কোনো কথা বলেননি খালেদা জিয়া। উপরন্তু তিনি তার ভাই শামীম এস্কান্দারকে বলেছেন, কেউ যেন ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। তবে কেন তিনি এমন বলেছেন, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ মি. টেন পার্সেন্ট তারেক রহমানের আমলনামা; আজও শিউরে ওঠে জাতি
[রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন খালেদা জিয়া!]
এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উনি (খালেদা) এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কোনো আলাপে জড়াতে চান না। আর এ কথা তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এও বলেছেন, দলীয় কোনো ইস্যু যেন ফিরোজা পর্যন্ত না আসে। এ কারণেই নেতা-কর্মীরাও আসতে পারছেন না।
এদিকে হতাশা প্রকাশ করে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, তাহলে এতদিন কার জন্য কী করলাম! তার মানে বিষয়টি এখন এরকম, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে কি না চোর! ম্যাডামের এমন আচরণে সবাই খুব মর্মাহত। তার এমন সিদ্ধান্তে হতবাক দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও।
আরও পড়ুনঃ
অকপটে নিজেকে আমেরিকার দালাল বলে স্বীকারোক্তি রেজা কিবরিয়ার (ভিডিও)