এক্সক্লুসিভ: বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে তারেকের নারী লোলুপতার ইতিহাস!

0
330
গোয়েন্দা

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকে হাওয়া ভবন গড়ে তুলে দেশব্যাপী দুর্নীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তারেক রহমান।

জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলের বড় পদে বহাল থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার,6F8E1440-3F04-466B-8BEC-DDA8A5CE3411-1811281517 সীমাহীন দুর্নীতি, একাধিক নারীসঙ্গউপভোগ করে দিন কাটাতেন তারেক। রোমানিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা DGDI (Directorate General of Defense Intelligence) তথ্য মতে এমন সত্যতা পাওয়া যায়। সংস্থাটি তাদের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তারেক সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উত্থাপন করে।

ডিজিডিআই-এর মতে, খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ১৯৯১ সালে কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসাবে সে সময় অতি তরুণ থাকায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন ধারণা তখন অর্জিত হয়ে ওঠেনি তারেকের।

আরও পড়ুন: তারেকের প্রেমের টানেই রাজনীতিতে এসেছেন রুমিন ফারহানা

কিন্তু তিনি দেখেছিলেন তার মায়ের ব্যক্তিগত ও দলের নানান সাদা-কালো ও রঙিন অধ্যায়। অন্যদিকে ২০০১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে বড়সড় ভূমিকা রাখেন তারেক রহমান।

হাওয়া ভবনতখন মা খালেদা জিয়াকে একরকম হুংকার দিয়ে বলেন, তুমি ও তোমার সরকারের বিকল্প আরেকটি  ব্যাকআপ শক্তি গড়ে তোলা হবে। সে ধারাবাহিকতায় খুলনার নেতা আলী আজগর লবির তত্বাবধানে রাজধানী ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবন একসময় চারদলীয় ঐক্যজোটের সরকারকে ছাপিয়ে যায়। হাওয়া ভবন হয়ে ওঠে রাষ্ট্রের অঘোষিত মালিকপক্ষ।

সেসময় পুরনো বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওরফে খাম্বা মামুন, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, লুৎফর রহমান আজাদ, লুৎফুজ্জামান বাবর ওরফে লাগেজ বাবর, সিলভার সেলিম, গোল্ডেন মনির প্রমুখ- সবাই তাকে বিভিন্ন সময়ে দেশের সিনেমার নায়িকা, গায়িকা, মডেল উপহার দিয়ে নিজেদের কাজ বাগিয়ে নিতেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া ছিলেন তার আন্তর্জাতিক সফরের প্রধান নারী সরবরাহকারী। জিয়াউল হকএই জিয়াউল হক জিয়া ও বগুড়ার আরেক জিয়া (জিয়াউল হক মোল্লা- সাবেক সংসদ সদস্য) সমসাময়িক এক বৈঠকে ডিজিডিআই-এর দুজন এজেন্টকে ভারতে গিয়ে তারেক রহমানের বিভিন্ন অপকীর্তির কথা অকপটে ফাঁস করে দেন।

তারা বলেন, সময়টা ছিল ২০০৩ ও ২০০৪ সালের দিকে। হোটেলে উঠেই তারেক নির্দেশ দেন তার বলিউড নায়িকা লাগবে। বাধ্য হয়ে সেই নির্দেশ পালন করতে অনেক ছোটাছুটি করতে হয়েছিল। বিস্তর পয়সা ঢালা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: বিএনপিতে শামা ওবায়েদের প্রভাব কমাতেই একের পর এক ভিডিও ফাঁস করছে রুমিন ফারহানা

সেই আমলে তারেক রহমানের বনানীতে আরেকটি বিশেষ হাউজ ছিল। যা তিনি আমোদ-ফুর্তির জন্যই ভাড়া নিয়েছিলেন। অনেক কষ্ট করে ঐ হাউজের বিশেষ দায়িত্বে থাকা দুলাল ও শিশিরকে ডিজিডিআই-এর এজেন্টরা খুঁজে বের করেন।

[ এক্সক্লুসিভ: বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে তারেকের নারী লোলুপতার ইতিহাস! ]

সেসময় দুলাল ও শিশির স্বীকার করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ন্যূনতম ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার সুন্দরী মেয়েদের বায়োডাটা সংগ্রহ করা হতো শুধুমাত্র তারেক রহমানের জন্য। ডিজিডিআই-এর এজেন্টরা তাদের প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরে জমা দেন সংশ্লিষ্টদের কাছে।

আরও পড়ুন: 

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে