বিএনপির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ নিয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর জেরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন : কর্মী সংকট, দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপির অধিকাংশ মহানগর কমিটিতে অসন্তোষ-বিভেদ দেখা দিয়েছে
দলের বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন নেতারা।
জানা গেছে, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন এবং জুনিয়র যারা জামায়াত ইসলামী থেকে দলে এসেছেন, তাদের গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করায় অনেক নেতার মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়। যা থেকেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন : ছাত্রদলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী খালেদার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিল!
পদত্যাগকৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এন মোস্তফা নূর, ভাইস চেয়ারম্যান উবায়দুল্লাহ মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র নেতা মোক্তাদের মাওলা চৌধুরী লিটন, ঢাকা মহানগরের সিরিয়র নেতা তাফহিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর নেতা লেখক, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন : একদিকে বিএনপিতে গণপদত্যাগ অন্যদিকে তারেক-ফখরুলের প্রতি গণঅনাস্থা
পদত্যাগের বিষয়ে মোস্তফা নূরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পদত্যাগ করেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী রয়েছেন। এখানে আর কেউ থাকবে না।’
[বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে কল্যাণ পার্টিতে পদত্যাগের হিড়িক]
কেন এত নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কল্যাণ পার্টিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে কাজ হচ্ছে না। গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে না। কাজের পরিসর নেই।
আরও পড়ুন :